হায়দরাবাদ: মধ্যরাতে নাটকে প্রথমে আটক ও পরে গ্রেফতার করা হল তেলঙ্গনার (Telengana) বিজেপি প্রধান ও লোকসভা সদস্য বান্দি সঞ্জয় কুমারকে (Bandi Sanjay Kumar)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) সফরের কয়েকদিন আগেই কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের (KCR) সরকারের এহেন আচরণে রাজ্য বিজেপি (BJP) রুখে দাঁড়িয়েছে। তাদের বক্তব্য, মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। মোদির সফরকে ঘেঁটে দিতে ইচ্ছাকৃতভাবে চক্রান্ত করে এটা করা হয়েছে। মাধ্যমিকস্তরের হিন্দি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে মাঝরাতে তাঁকে করিমনগরের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসে পুলিশ।
মঙ্গলবার সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যে মোবাইলে তোলা প্রশ্নপত্রের ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। গত ৩ এপ্রিলেও আর একটি প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল বলেও অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, প্রশ্নপত্রের ছবি সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন প্রাক্তন এক সাংবাদিক তথা বর্তমানে বিজেপি কর্মী বুরাম প্রশান্ত। তাঁর সঙ্গে বিজেপির ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে এই অভিযোগে বান্দি সঞ্জয়কে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: NCERT | কেন্দ্রের নয়া পাঠ্যবইয়ে ছাঁটাই ‘জাতির জনক’, গডসের কীর্তিও ঝাপসা
বুধবার ওয়ারাঙ্গল আদালতে তোলার কথা তাঁকে। তদন্তে এ পর্যন্ত মৌতম শিবা গণেশ নামে এক গাড়ি চালক, বুরাম প্রশান্ত এবং ১৬ বছরের এক নাবালককে আটক করেছে পুলিশ। কিন্তু, রাজ্য বিজেপির প্রধানকে আটক করার সময় মাঝরাতেও বেগ পেতে হয় পুলিশকে। বাড়ি থেকে প্রায় টেনেহিঁচড়ে তাঁকে পুলিশের গাড়িতে তোলার সময় বাধা দেন বিজেপি সমর্থকরা। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী কেসিআরের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন।
বান্দির গ্রেফতারি নিয়ে ভারত রাষ্ট্র সমিতি (BRS) এবং বিজেপির মধ্যে বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। তেলঙ্গনার এক মন্ত্রী বলেন, স্বার্থান্বেষী রাজনীতির জন্য বিজেপি নেতারা নিষ্পাপ পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন। অন্যদিকে, বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেছেন, মধ্যরাতের অপারেশনে তেলঙ্গনা পুলিশ বিজেপির রাজ্য সভাপতি বান্দি সঞ্জয় কুমারকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করেছে। কেসিআরের ভবিষ্যতের পক্ষে এই কাজ ভালো হবে না।
বুধবারই তাঁর গ্রেফতারিকে অবৈধ বলে দাবি করে তেলঙ্গনা হাইকোর্টে আবেদন করেছে বিজেপি। বান্দিকে কেন ধরা হয়েছে এবং এখন তাঁকে কোথায় রাখা হয়েছে, আদালতের আবেদনে তা জানতে চেয়েছে পুলিশ। কারণ বান্দিকে বাড়ি থেকে তুলে নেওয়ার পর পুলিশ তাঁকে নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় যায়। প্রতি জায়গাতেই বিজেপি কর্মীরা ব্যাপক বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁকে এই মুহূর্তে কোন জায়গায় রাখা হয়েছে, তাও জানা যায়নি।